মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

GBP/USD পেয়ারের 30M চার্ট

মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের বেশ আকর্ষণীয় নিম্নগামী মুভমেন্ট দেখা গিয়েছে। মূল্য সাইডওয়েজ চ্যানেলের উপরের ব্যান্ডে পৌঁছানোর পরে কমে গেছে, যেখানে তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে এই পেয়ারের ট্রেড করা হচ্ছে। উপরের চার্টে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে আমরা কী বলতে চাইছি। ফলে, দিনের বেলায় বেশ আকর্ষণীয় মুভমেন্ট হওয়া সত্ত্বেও (যা সামষ্টিক অর্থনৈতিক বা মৌলিক পটভূমি দ্বারা উস্কে দেওয়া হয়নি), এই পেয়ারের মূল্য সাইড চ্যানেলের মধ্যেই ছিল, যার অর্থ ফ্ল্যাট প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। আমরা ইতোমধ্যেই এটি উল্লেখ করেছি – আমরা যে ধরনের মুভমেন্টই দেখি না কেন, এই পেয়ারের মূল্য এখনও সাইডওয়েজ মুভমেন্ট প্রদর্শন করে চলেছে।

মঙ্গলবার, অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে আকর্ষণীয় কিছুই ছিল না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি প্রতিবেদন এবং ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তার একটি বক্তৃতা ছিল। যদিও এই ইভেন্টগুলির বাজারে ট্রেডারদেকে প্রভাবিত করার ক্ষীণ সম্ভাবনা ছিল, তবে এগুলোর প্রভাবে অবশ্যই ডলারের দর বৃদ্ধির পায়নি। যেহেতু মূল্য আবার চ্যানেলের উপরের ব্যান্ডে পৌঁছেছিল, তাই এখন আমরা আশা করতে পারি যে এই পেয়ারের মূল্য 1.2620 লেভেলে নেমে যাবে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

5 মিনিটের চার্টে দুটি ট্রেডিং সংকেত তৈরি হয়েছিল। ইউরোপীয় সেশন চলাকালীন সময়ে, এই পেয়ারের মূল্য কয়েক ঘন্টা ধরে 1.2787-1.2791 লেভেলে আশেপাশে ঘোরাঘুরি করে, পরে এটি শেষ পর্যন্ত সেখানে থেকে ফিরে আসে ও একটি বিক্রয় সংকেত তৈরি করে। পরবর্তীকালে, মূল্য প্রথম প্রচেষ্টায় সফলভাবে 1.2748 লেভেল অতিক্রম করে এবং দিনের বাকি সময়ে আর কোন সংকেত ছিল না। তাই, সন্ধ্যার দিকে শর্ট পজিশন ম্যানুয়ালি বন্ধ করা উচিত ছিল, যার থেকে লাভ 40 পিপসের কম নয়, যা মূল্যের 80 পয়েন্টের অস্থিরতার ক্ষেত্রে বেশ ভাল।

বুধবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

30-মিনিটের চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য একটি সাইডওয়েজ চ্যানেলে মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। আমরা এখনও পাউন্ডের দরপতনের আশা করি, কারণ আমরা এখনও বিশ্বাস করি এটি অতিরিক্ত কেনা হয়েছে এবং এটির মূল্য অযৌক্তিকভাবে ব্যয়বহুল। যাইহোক, বাজারের ট্রেডাররা আপাতত বিরতি নিয়েছে, তাই হয় সাইডওয়েজ চ্যানেলের মধ্যে ট্রেড করুন বা ফ্ল্যাট শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন। আগামী দিনগুলোতে, আমরা পাউন্ডের মূল্য প্রায় 100 পিপস কমার আশা করতে পারি। 5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2499, 1.2538, 1.2605-1.2620, 1.2653, 1.2688, 1.2748, 1.2787-1.2791, 1.2848-1.2860, এবং 1.2913। একটি ট্রেড খোলার পর মূল্য 20 পিপস সঠিক দিকে চলে গেলে, আপনি ব্রেকইভেন-এ স্টপ-লস সেট করতে পারেন। বুধবার, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশেই পরিষেবা এবং উত্পাদন খাতের PMI প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এইগুলো খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন নয়, এবং এগুলোর প্রভাবে এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট প্রবণতা থেকে পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম।

ট্রেডিং সিস্টেমের সাধারণ নীতিমালা:

1) সংকেত গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সংকেতের শক্তি নির্ধারণ করা হয় ( রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সংকেত তত শক্তিশালী হয়।

2) যদি কৃত্রিম সংকেতের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সংকেত উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট ট্রেডিংয়ের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক কৃত্রিম সংকেত তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি বন্ধ করতে হবে।

5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সংকেত ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি লাভ করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।

MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সংকেত। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।

ফরেক্সে নতুনদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।